শিরোনাম
টেকসই উন্নয়ন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও অভ্যাস পরিবর্তনের ওপর নির্ভরশীল: পরিবেশ উপদেষ্টা শেষমেশ ওরিকেই ‘স্বামী’ বলে পরিচয় দিলেন জাহ্নবী উল্লাপাড়ায় দুই নৌকার সংঘর্ষে ২ যুবকের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক আরও দুইজন নুরুল হকের ওপর হামলায় বিএনপি ও জামায়াতের নিন্দা জেলেদের জন্য ভয়ংকর নাফ নদী— ২৩ দিনে ৬৩ জন জেলেকে অপহরণ কাকরাইলে রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে যা বলছে আইএসপিআর ট্রাম্পের অধিকাংশ শুল্ক আরোপ অবৈধ : মার্কিন আদালত নুরের ওপর হামলা: তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান তারেক রহমানের হামলায় আহত নুরুল হক নুর গুম বন্ধে আন্তর্জাতিক আইনে বিচার বাস্তবায়ন বিএনপির অঙ্গীকার: তারেক রহমান

ইলিশ ধরায় বিধিনিষেধ

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২১

ঢাকা : ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে শুরু হচ্ছে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা। রবিবার মধ্যরাত থেকে আগামী বছরের ২৩ জুলাই পর্যন্ত আট মাস ২৩ দিন এসব বিধিনিষেধ পালিত হবে। যদিও প্রতিবছরই এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ পদক্ষেপের প্রথম ধাপে জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞা এখন থেকে কার্যকর হবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল দপ্তরের মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত আকারের (প্রায় ১০ ইঞ্চি) ইলিশকে জাটকা হিসেবে গণ্য করা হয়। নদনদীতে গত তিন-চার মাসের মধ্যে যেসব মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে, তাতে জন্ম নেওয়া ইলিশের আকৃতি এখন ২৫ সেন্টিমিটারের মধ্যেই আছে। জন্মের পর থেকে এক বছর বেঁচে থাকতে পারলে সেটি কমপক্ষে ১২ ইঞ্চি বা এক ফুট আকৃতির বড় ইলিশে পরিণত হবে। এ জন্য প্রতিবছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা নিধনে আট মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ সময় জেলেরা ৫ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার কম ফাঁসের জাল ব্যবহার করলে জেল-জরিমানা করা হবে।’

চাঁদপুর ইলিশ গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ‘মা ইলিশ সারা বছরই ডিম দেয়। তবে ৮০ শতাংশ ইলিশ ডিম ছাড়ে আশ্বিনের পূর্ণিমায়। এ জন্য প্রতি বছর আশ্বিনের পূর্ণিমা ও অমাবস্যার মাঝের ২২ দিন ইলিশ নিধন বন্ধ রাখা হয়। এ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে ২৫ অক্টোবর।’

এদিকে অভ্যন্তরীণ নদনদীতে শুধু জাটকা নিধন নিষিদ্ধ হলেও পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদীর ৪০ কিলোমিটারের অভয়াশ্রমে রবিবার মধ্যরাত থেকে আগামী ৩১ জানুয়ারি টানা তিন মাস ইলিশ নিধন পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্য মাছ ধরার অজুহাতে ইলিশ নিধন বন্ধ করতে অভয়াশ্রমভুক্ত নদীতে নামতে পারবেন না জেলেরা। আগামী মার্চ ও এপ্রিলজুড়ে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা অপর পাঁচটি অভয়াশ্রমে পালিত হবে। এ ছাড়া অন্যান্য মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গভীর সাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে আগামী বছরের ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত।

মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় দপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুস সালেহীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আট মাসের নিষেধাজ্ঞা পালনের জন্য জেলেদের প্রণোদনা হিসাবে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চার মাসে ১৬০ কেজি চাল সহায়তা দেওয়া হয়। বরিশাল বিভাগে তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছেন তিন লাখ ৯৩ হাজার ১৯১ জন। গত বছর চাল সহায়তা পেয়েছিলেন দুই লাখ ৩২ হাজার ৭১ জন জেলে। এবারও তারা এ সহায়তা পাবেন।’

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com