আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের হিমাচলে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। প্রচণ্ড বৃষ্টির ফলে প্রদেশটিতে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে কয়েকজনকে। টানা বৃষ্টিতে ফুঁসে উঠেছে বিপাশা নদী। যার জেরে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডও। একই সঙ্গে পাহাড়ি ধসে জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে এই দুই রাজ্যেই।
রবিবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টির কবলে পড়ে হিমাচলের সোলান এলাকার জাডোন গ্রাম। আচমকা পানির তোড়ে ভেসে যায় গ্রামের একাংশ। এতে সাত জনের মৃত্যু হয়। আরও ছয় জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোলানের ডিভিশনাল কমিশনার মনমোহন শর্মা।
কয়েক দিন ধরেই হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টি চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়েছে। নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। খরস্রোতা বিপাশা নদীর পানির বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। প্রায়ই কোথাও না কোথাও ধস নামছে। ধসের কারণে রাস্তা আটকে বিপদে পড়েছেন এখানকার যাত্রীরা।
দুই রাজ্যের মোট ৬২১টি রাস্তা আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। কোথাও মেরামতের কাজ চলছে। শুধু শিমলাতেই ৫৯টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে। শিমলা এবং চণ্ডীগড়ের সংযোগকারী শিমলা-কালকা জাতীয় সড়কে ধসের কারণে গত দু’সপ্তাহ ধরে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ধস নেমেছে ঋষিকেশ-চম্বা জাতীয় সড়কেও।
হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু সোমবার পর্যন্ত রাজ্যের স্কুল এবং কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্কুল বন্ধের সময়সীমা বৃদ্ধি পেতে পারে।