আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্ষমতায় থাকাকালীন যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেয়া বা হস্তক্ষেপের চেষ্টার অভিযোগকে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে নিজেকে ফের নির্দোষ দাবি করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে নমনীয়তার আশ্রয় নিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন নির্বাচনকালীন সময় তিনি কোন কিছু দিয়ে প্রভাবিত হননি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ওয়াশিংটনের একটি আদালতে শুনানি চলার সময় এমন সব দাবি করেন তিনি।
ট্রাম্প আরও বলেন, রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে হেনস্তা করতে এমনটি করা হচ্ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফৌজধারী অপরাধের মামলায় গত চার মাসে তৃতীয়বারের মতো আদালতে হাজিরা দেন ট্রাম্প।
আদালতে শুনানি শুরুর পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো পড়ে শোনান বিচারক মোক্সিলা উপাধ্যায়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার কত বছরের সাজা হতে পারে তা-ও জানানো হয়। এ সময় ট্রাম্প বলেন, তিনি নির্দোষ।
শুনানিতে সরকারপক্ষের কৌঁসুলিরা আদালতের কাছে ট্রাম্পকে আটকের আবেদন করেননি। তবে এর বিপরীতে তাকে বেশ কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৮ আগস্ট এ অভিযোগের বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন জয়ী হন। এ নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে পরাজয় মানতে অস্বীকার করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বাইডেনের জয়ের সত্যায়নে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন বসে। সত্যায়ন প্রক্রিয়া ঠেকাতে ট্রাম্পের উসকানিতে তার সমর্থকেরা কংগ্রেস ভবনে (ক্যাপিটল) হামলা চালান।
এ নিয়ে তদন্তের পর গত মঙ্গলবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৪৫ পাতার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন বিশেষ আইনজীবী জ্যাক স্মিথ। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের পক্ষে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। অভিযোগে বলা হয়েছে, ট্রাম্প নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার জন্য বেআইনি পথ বেছে নিয়েছিলেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করতে ষড়যন্ত্র, অধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দেওয়ার ষড়যন্ত্রসহ মোট চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে এ নিয়ে চার মাসের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো ফৌজদারি অপরাধে আদালতে উপস্থিত হলেন ট্রাম্পে। গত মধ্যে মার্চে সাবেক পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করার অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ‘সরকারি গোপন নথি’ নিজের কাছে রেখে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।