পাকিস্তানে বোমা হামলায় নিহত ৩৫, আহত ২০০

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী সম্মেলনে ভয়াবহ বোমা হামলায় স্থানীয় নেতাসহ কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত ও অন্তত ২০০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামলায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

রবিবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৪টায় দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বাজুর জেলায় প্রবীণ রাজনীতিবিদ মাওলানা ফজলুর রহমানের দল জমিয়ত উলামা ইসলাম-ফজলের (জেইউআই-এফ) সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।

বাজুয়ার জরুরি কর্মকর্তা সাদ খান জানান, এ হামলায় দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা মাওলানা জিয়াউল্লাহ জান প্রাণ হারিয়েছেন। আহতদের পেশোয়ার ও তিমারগেরার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। খার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান আজম খান বলেছেন, এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ৩৫টি মরদেহ ও ১০০ জন আহত ব্যক্তিতে আনা হয়েছে। বাজুর জেলার জরুরি কর্মকর্তা সাদ খান হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এক্সপ্রেস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার বাজুর জেলার তেহরিল খারের দুবাই মোড় এলাকার একটি বাজারস্থ হলরুমে জেইউআই-এফের সম্মেলন চলছিল। আকস্মাৎ সেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তেহরিল খার জেইউআই-এফ আমীর মাওলানা জিয়াউল্লাহ নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডনের প্রতিবেদক জানান, আহতদের মধ্যে একজন স্থানীয় সাংবাদিকও রয়েছেন।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের কাছে দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা হাফিজ হামদুল্লাহ বলেছেন, এ সম্মেলনে তারও উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে যেতে পারেননি। হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। হামদুল্লাহ আরও জানিয়েছেন, এর আগেও তাদের দলের কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। এ বিষয়ে সংসদে কথা তোলার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, ‘আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা যদি এটিকে কথিত জিহাদ বলেন তবে ভুল করছেন। এটি প্রকাশ্য ফাসাদ ও সন্ত্রাসী আগ্রাসন; মানবতা, বাজু ও এ অঞ্চলের উপর আক্রমণ। এটি ইসলাম নয়, বরং ইসলাম ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে গুরুতর অবিচার।’

টেলিভিশনের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার পরপরই সেখানে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স উপস্থিত হয়েছে। ঘটনাস্থলের ও আশেপাশের এলাকায় জনসাধারণের চলাফেরা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।

রহিম শাহ নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী দ্য ডন’কে বলেন, বিস্ফোরণের সময় সম্মেলনে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা তখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, এমন সময় আকস্মিক শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। জ্ঞান ফেরার পর দেখি সর্বত্র রক্ত। আহতরা আত্মচিৎকার করছিল।

এদিন সন্ধ্যায় কেপির তত্ত্বাবধায়ক মূখ্যমন্ত্রী আজম খান এক বিবৃতিতে বলেন, পুলিশের কাছে বিস্ফোরণের তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

কেপি গভর্নর হাজি গুলাম আলিও এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, আহত ব্যক্তিদের স্থানান্তরের জন্য ঘটনাস্থলে একটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com