নাটোর : নাটোর পৌর শহরের হেমাঙ্গিনী ব্রিজের ওপরে প্রতিপক্ষের হাতে মার খেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন দুই যুবক। এ সময় তাদের হাসপাতালের ভেতরে কুপিয়ে জখম ও হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ জীবন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।
বুধবার (১৯ জুলাই) নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে একই দিন রাত ১০টা দিকে ওই ব্রিজে তাদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, পশ্চিম কান্দিভিটুয়া এলাকার বাবলু মিয়ার ছেলে আলামিন (২০) ও হাসেম আলীর ছেলে হাবিব (২০) এবং মোমিন (২২) একই এলাকার বাসিন্দা।
নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সামিউল ইসলাম শান্ত জানান, হাবিবের একহাতের রগ কাটা গেছে ও আলামিনের বাম পায়ে গুরুতর জখম হয়েছে। তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে মোমিনকে সদর হাসপাতালেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহমেদ জানান, মঙ্গলবার রাতে হেমাঙ্গিনী ব্রিজের ওপর জীবন, জনি হাছানসহ আরও পাঁচ থেকে সাতজন এসে স্থানীয় আলামিন, হাবিবকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে হাসপাতালে জীবন ও মোমিন আবারও গিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় মোমিনও আহত হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।