আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মিডিয়ায় বাহবা পাওয়া জন্য কেউ হয়ত জো বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে মূল উদ্দেশ্য কী আমি জানি না, আমার এটা সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
যারা ভিসা নীতির প্রত্যাহার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা দায়ের করেছেন, তারা তো সামাজিক পরিচয়ে আওয়ামী লীগ— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা সত্যি আওয়ামী লীগের সমর্থক না কি নিজে নিজে আওয়ামী লীগ দাবি করে? আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় ইদানীং বহু লোক যারা আগে জামায়াত সমর্থন করত, যারা আগে বিরোধী দল করত, তারা এখন নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক বলে পরিচয় দিয়ে বেড়ায়।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন মিশিগানের ডেট্রয়েট ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক কোর্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রবাসী বাংলাদেশি ড. রাব্বী আলম। এতে নতুন ভিসা নীতিকে অগণতান্ত্রিখ উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মোমেন জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারে লজিস্টিক সাপোর্ট চেয়েছেন। আমরা বলেছি, সেটা দেব। রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়ায় প্রত্যাবাসন কোনো বাধা হবে না বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পাঁচ দিনের সফরে মঙ্গলবার ঢাকায় আসেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি করিম খান। সফরের প্রথম দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।