শিরোনাম
টেকসই উন্নয়ন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও অভ্যাস পরিবর্তনের ওপর নির্ভরশীল: পরিবেশ উপদেষ্টা শেষমেশ ওরিকেই ‘স্বামী’ বলে পরিচয় দিলেন জাহ্নবী উল্লাপাড়ায় দুই নৌকার সংঘর্ষে ২ যুবকের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক আরও দুইজন নুরুল হকের ওপর হামলায় বিএনপি ও জামায়াতের নিন্দা জেলেদের জন্য ভয়ংকর নাফ নদী— ২৩ দিনে ৬৩ জন জেলেকে অপহরণ কাকরাইলে রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে যা বলছে আইএসপিআর ট্রাম্পের অধিকাংশ শুল্ক আরোপ অবৈধ : মার্কিন আদালত নুরের ওপর হামলা: তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান তারেক রহমানের হামলায় আহত নুরুল হক নুর গুম বন্ধে আন্তর্জাতিক আইনে বিচার বাস্তবায়ন বিএনপির অঙ্গীকার: তারেক রহমান

এক ফ্যান ও এক লাইটে ৭ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩

কুড়িগ্রাম: একটি লাইট ও একটিমাত্র ছোট ফ্যান চালিয়ে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৭ হাজার ২০০ টাকা। ফলে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অনেকটা বিপাকেই পড়েছেন কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের রামদাস ধনিরাম সরদার পাড়া গ্রামের কাছিরন বেওয়া।

কাছিরন বেওয়া ওই গ্রামের মৃত কাশেম আলীর স্ত্রী। একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়ে বাড়িতে একা থাকেন। সরকারের দেওয়া বিধবা ভাতা আর অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। বিদ্যুতের এমন অস্বাভাবিক বিলের কাগজ নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন তিনি। দুই দিন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উলিপুর অফিসে গেলেও কোনো সমাধান মেলেনি।

কাছিরনকে দেওয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মে মাসের বিলের কাগজে দেখা গেছে, বর্তমান ইউনিট ৬০, পূর্ববর্তী ইউনিট ০ ও ৭১৬। ব্যবহৃত ইউনিট উল্লেখ করা হয়েছে ০। তবে গড় বিল উল্লেখ করা হয়েছে ৬ হাজার ৪৬২ টাকা। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে বিল পরিশোধ করলে কাছিরনকে অন্যান্য চার্জসহ সর্বমোট ৭ হাজার ২০০ টাকা দিতে বলা হয়েছে।

কাছিরন বেওয়া জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার পর থেকে ঘরে একটি লাইট ও একটি ছোট ফ্যান ব্যবহার করে আসছেন। এর বাইরে তিনি কোনো বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন না। প্রতি মাসে ১৩০ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। এতো টাকা করে বিল আসায় মার্চ মাসে তিনি তার মিটার পরিবর্তন করেন। এরপর দুই মাস কর্তৃপক্ষ তাকে বিদ্যুৎ বিল দেয়নি। মে মাসে তাকে বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ২০০ টাকা। এতো টাকার বিদ্যুৎ বিল আসার কথা শুনে তার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম।

কাছিরন বেওয়া বলেন, ‘মানুষের বাড়িত কাজ করি আর সরকারের ভাতার টাকায় কোনোরকম সংসার চলে। একটা লাইট আর ফ্যান চলেয়া এত টাকা বিল হয় কেমন করি। বিলের কাগজ আসার পর ভাত রাইনবারে পাই না। চিন্তায় চিন্তায় ইয়ার উয়ার (এর, ওর) বাড়ি যাই। বিলের কাগজ নিয়া দুইদিন অফিস গেছি। কোনো কথায় শোনে না। ৭ হাজার ২০০ টাকা পরিশোধ করবার কইছে। আমি গরিব মানুষ, এতো টাকা কেমন করি পরিশোধ করি। তোমরা ইয়ার সমাধান করি দ্যাও।’

কাছিরনের বিদ্যুৎ বিল ৭ হাজার টাকা হওয়া অস্বাভাবিক বলে স্বীকার করেছেন কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উলিপুর অফিসের ডেপুটি জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) সোহানুর রহমান।

হোয়াটসঅ্যাপে কাছিরনের বিলের কাগজের ছবি পাঠিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিলের কাগজে যে রিডিং উল্লেখ করা হয়েছে সেটি আমার কাছেও অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। আমি বিলিং সহকারীর কাছে জানলাম যে এটা সমস্যা হয়েছে। সংশোধন করা হবে।

বিল প্রস্তুতকারীর বরাতে ডিজিএম বলেন, পুরাতন মিটারের একটি ইউনিট ভুলবশত এই বিলে উঠে গেছে। বিলিং সহকারী আগের নষ্ট মিটারের ইউনিট এই বিলে দিয়ে থাকতে পারেন। অফিসে এলে বিষয়টি দেখে আমরা সংশোধন করে দেব।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com