ঢাকা : ক্ষমতাসীন সরকার আওয়ামীলীগকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেছেন, তালবাহানা করে লাভ নাই, ক্ষমতা ছাড়তেই হবে, আজকে না হলে কালকে ছাড়বেন, কালকে না হলে পরশু ছাড়বেন। যারা অন্যায় করছেন, তাদের প্রত্যেকের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে।
২৭ মে (শনিবার) বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে অধীনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবী মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানী, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি’র জনসমাবেশ।
টুকু বলেন, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন বাংলাদেশে, জনগনের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে কেউ চিরজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারেনাই। পাকিস্তানীরা পারেনাই, এরশাদ পারেনাই, আওয়ামীলীগরাও পারবেনা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি ইঙ্গিত করে যুবদল সভাপতি বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষের কেউ রক্ষা পাবে না । সরকারের পক্ষে সাদা পোশাকে দাঁড়ান আর পোশাকে দাঁড়ান কেউ রক্ষা পাবেন না। অন্যায়ভাবে যে সমস্ত পুলিশ ভাইয়েরা অবৈধ সরকারের অবৈধ আদেশে আমাদের নেতাদেরকে গ্রেফতার করছেন তাদের তালিকা আমরা করে রাখছি।
পুলিশ বাহিনীরা যেভাবে থ্রেট করে তাতে মনে হয় এরা রাষ্ট্রের কেউ না, এরা পুলিশলীগ করে। ওই সমস্ত পুলিশ অফিসার যারা দলীয় স্বার্থে মদদ দেয় তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মসূচি দেখে দেশের মানুষ হাসে। তারা যতই শান্তি সমাবেশ দেন, যতই জনগণের সম্পদ রক্ষার কথা বলেন, জনগণের কাছে তা হাস্যকর হিসেবে পরিচিত পায়। কারণ আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ পরাজিত হয়েছে। তারা এখন পুলিশ ও আদালতের আশ্রয় নিচ্ছে। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের ভূমিকা দেখলে মনে হয়, আওয়ামী লীগ সরকারে নেই, বিরোধীদলে । তবে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।’
ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন, গাজীপুরের নির্বাচন নাকি সুস্ঠ হয়েছে, কারচুপি করতে চেয়েছিল মিডিয়ার কারনে পারেনাই। একজন বৃদ্ধ মহিলার কাছে পরাজিত হয়েছেন, লজ্জা থাকা উচিত, আওয়ামীলীগের লজ্জা নাই, এজন্য তারা জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়।
সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেন, প্রশাসন ব্যাবহার করে রাষ্ট্রীয় দমন, পীড়ন চালাচ্ছেন ১৫বছর ধরে গুম করেছেন, খুন করেছেন কিন্তু শহীদ জিয়ার সৈনিক, বেগম খালেদা জিয়ার সৈনিক, দেশনায়ক তারেক রহমানের সৈনিকদের দমাতে পারেন নাই, পারবেনও না। আওয়ামীলীগের প্রত্যকটি নেতাকর্মী যারা প্রতিরোধের কথা বলে তাদের বিষদাঁত এই রাজপথেই আমরা তুলে দিব।
জনগণ এখন কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকারের নিষ্ঠুর আচরণের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। সর্বস্তরের জনগণ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে শুরু করেছে। এ অবৈধ সরকার জোর করে আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।সরকার পতনের আন্দোলন চলমান, পতন না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। বাংলাদেশ আজকে পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সহ-সভাপতি রুহুল আমিন আকিল, গোলাম মোস্তফা সাগর, সহ-সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাসেল, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন প্রমুখ।