আন্তর্জাতিক ডেস্ক: থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনের ভোট গণনা হয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। এতে দেখা যাচ্ছে, ফলাফলে চমক দেখিয়েছে মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি (এমএফপি), যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৪২ বছর বয়সী সাবেক প্রযুক্তি নির্বাহী পিটা লিমজারোনরাত। পিছিয়ে পড়েছে দেশটির সামরিক-সমর্থিত ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টি।
আগে দেখা গিয়েছিল, ফলাফলে এগিয়ে ছিল ফিউ থাই দল; যার নেতৃত্বে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে ৩৬ বছরের পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। খবর বিবিসির
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিরোধী দল দুটি জোট আলোচনার জন্য প্রস্তুত। থাই ভোটাররা সামরিক সমর্থিত সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, গণনায় এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে বিরোধী দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি)। এরপরই রয়েছে আরেক বিরোধী দল থাকসিন সিনাওয়াত্রার দল ফিউ থাই।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা অর্জনের পর এই নির্বাচনকে থাইল্যান্ডের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
২০১৪ সালে এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে থাইল্যান্ডের ক্ষমতা দখল করেন সাবেক সেনাপ্রধান প্রাউত। তবে এবার মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি ও ফিউ থাই-এর মতো দলগুলোর বিপক্ষে শক্তিশালী নির্বাচনী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। যদিও ভোটের আগে জনমত জরিপেও পিছিয়ে ছিল প্রাউতের দল।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যের ভিত্তিতে, সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছে মুভ ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয় স্থানে আছে ফিউ থাই। সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, এমএফপি এগিয়ে রয়েছে। দলটি সরাসরি নির্বাচিত ৪০০ আসনের মধ্যে ১১৪টির বেশি পেতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রাজধানী ব্যাংককের ৩৩টি আসনের বেশিরভাগই রয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পিউ থাই দল পেতে যাচ্ছে ১১১টি সরাসরি নির্বাচিত আসন এবং দলের তালিকাভুক্ত ২৫টি আসন। সরকার গঠনে পিউ থাই ও এমএফপির প্রয়োজন ৩৭৬টি আসন।
৯ বছর ধরে সামরিক শাসন চলা দেশটির জাতীয় নির্বাচনে এবার অংশগ্রহণ করেছে প্রায় ৭০টি দল।
অন্যদিকে আবারো ক্ষমতায় আসার জোর চেষ্টায় আছেন সেনা সমর্থিত প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচাও। ৬৯ বছরের এই সাবেক সেনাপ্রধান ২০১৪ সালে দেশটিতে সর্বশেষ অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন। সে সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রার কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।