আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকা রাশিয়াকে অস্ত্র দিচ্ছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ডিসেম্বরে রাশিয়ার একটি জাহাজ সাউথ আফ্রিকার বন্দর থেকে অস্ত্র আনে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেল এ তথ্য জানিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রুবেন ব্রিগেটি বৃহস্পতিবার (১১ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটি সাইমন টাউনে রাশিয়ার পতাকা লাগানো একটি জাহাজ এসে দাঁড়ায়। অথচ জাহাজটির সেখানে দাঁড়ানোর কথা নয়। কারণ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সাউথ আফ্রিকা ট্রাকে করে অস্ত্র নিয়ে গিয়ে ওই জাহাজে ভর্তি করে। এরপর জাহাজটি রাশিয়ার দিকে রওনা হয়।
ওয়াশিংটনে সাউথ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাউথ আফ্রিকা এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সাউথ আফ্রিকা কোনো পক্ষ নেয়নি। বরং তারা মধ্যবর্তী অবস্থান নিয়েছে। কোনো পক্ষকেই ভোট দেয়নি। কিন্তু তারা গোপনে রাশিয়াকে সমর্থন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে এবং সে কারণেই সম্পূর্ণ গোপনে তারা রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিভাগ এক টুইটারে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি প্যান্ডর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের অভিযোগের পর দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসা জানান, রাশিয়ার জাহাজে অস্ত্র দেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
তবে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার জাহাজে অস্ত্র লোড করা হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।