ঢাকা : ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া সশস্ত্র দুই দলের সহিংস সংঘাতে টালমাটাল আফ্রিকার দেশ সুদান। চলতি মাসের শুরুর দিকে সেনাবাহিনী এবং আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধের ভয়াবহতায় সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপদে অন্য দেশের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতেমধ্যেই ফিরতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৭০০ বাংলাদেশি সুদান থেকে দেশে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফেরানো হলেও দ্রুতই ফেরাতে চায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক তারিকুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি জেনেছি এখন পর্যন্ত ৭০০ বাংলাদেশি ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আগ্রহ প্রকাশ করা বাংলাদেশিদের তালিকা করা হচ্ছে তাদের ফেরানোর কাজ চলছে। এটা প্রাথমিক পর্যায়ের আগ্রহ।
কত জন বাংলাদেশি সুদানে আছে জানতে চাইলে তারিকুল ইসলাম বলেন, সেখানে বসবাস করা বাংলাদেশির সংখ্যাটা আনুমানিক ১২০০ থেকে ১৫০০ এর মধ্যে।
কবে নাগাদ ফিরতে পারে সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের একত্রিত করা হচ্ছে। আমরা চাচ্ছি যতো দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরানো। ট্রান্সপোর্ট, ডকুমেন্টেশন, অন্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয় আছে যাতে অনুপ্রবেশ করতে পারে। আমাদের লক্ষ্য ছিল এই মাসের শেষেই নিয়ে আসার, আমরা চেষ্টা করছি দ্রুততার সঙ্গে করতে। অফিসিয়াল কিছু নিয়ম আছে। আমরা চাইলেই একটা লোককে একটা দেশের বর্ডারে নিতে পারি না আবার বর্ডার থেকে নিরাপদ একটা স্থানে নিতে হবে। সেখানে একত্রিত করে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। এজন্য নিয়ম কানুন মেনে করতে হয়।
জানা গেছে, খার্তুমের পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় সেখানকার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ জাজিরা প্রদেশের মাদানি শহরে অবস্থান করছেন। তিনি সেখান থেকে বাংলাদেশিদের নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নিতে কাজ করছেন।
অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, সুদানে অনেক অনিবন্ধিত বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন যাদের অনেকেই ফিরতে আগ্রহী নন। কেননা সুদান থেকে একবার চলে এলে ফেরা সহজ হবে না। তাই অনেকেই দ্বিধায় রয়েছেন।