ঢাকা : আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দর আরও হ্রাস পেয়েছে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির দাম কমেছে প্রায় ১ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। ফলে দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ সুদের হার বাড়িয়ে যেতে পারে তারা। এতে চাপে পড়ছে বুলিয়ন মার্কেট।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে স্বর্ণের মূল্য ব্যাপক পড়েছে। সাপ্তাহিক ভিত্তিতে গত ২ মাসের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি পতন।
এদিন আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের স্পট মূল্য হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে ১৯৮৮ ডলার ২২ সেন্টে। আগের কার্যদিবসে (বৃহস্পতিবার) যা ছিল ১৯৯২ ডলার ২৩ সেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের সরবরাহ মূল্য কমেছে ১ শতাংশ। আউন্সপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ১৯৯৯ ডলার ৭০ সেন্টে। আগের কর্মদিবসে তা ছিল ২০০৪ ডলার।
সবমিলিয়ে এ সপ্তাহে স্বর্ণের দর নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারির শেষদিকের পর যা সর্বোচ্চ নিম্নমুখিতা।
কিনেসিস মানির বাহ্যিক বিশ্লেষক কার্লো আলবার্তো ডি কাসা বলেন, আগামী মে মাসে আরেক দফায় সুদের হার বাড়াচ্ছে ফেড। ধারণা করা হয়েছিল, এর পর তা বাড়ানো বন্ধ করবে তারা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি-নির্ধারকদের সাম্প্রতিক তথ্যে ভিন্নতা দেখা গেছে। দীর্ঘ সময়ের জন্য সুদ হার বৃদ্ধির পথে হাঁটতে পারে তারা।
ফেডের আসন্ন বৈঠকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার বাড়ানোর ৮৮ শতাংশ সম্ভাবনা আছে। তাতে চলতি সপ্তাহে ডলারের দাম বেশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গত ৫ সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। ফলে অন্যান্য মুদ্রা ধারণকারীদের কাছে স্বর্ণ কেনা ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার ফেড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশে নামিয়ে আনা। কিন্তু বর্তমানে সেটা যার অনেক ওপরে আছে। ফলে আগামীতেও সুদের হার বাড়িয়ে যেতে হবে। এমনটি হলে স্বর্ণের দাম আরও কমবে।