শিরোনাম
টেকসই উন্নয়ন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও অভ্যাস পরিবর্তনের ওপর নির্ভরশীল: পরিবেশ উপদেষ্টা শেষমেশ ওরিকেই ‘স্বামী’ বলে পরিচয় দিলেন জাহ্নবী উল্লাপাড়ায় দুই নৌকার সংঘর্ষে ২ যুবকের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক আরও দুইজন নুরুল হকের ওপর হামলায় বিএনপি ও জামায়াতের নিন্দা জেলেদের জন্য ভয়ংকর নাফ নদী— ২৩ দিনে ৬৩ জন জেলেকে অপহরণ কাকরাইলে রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে যা বলছে আইএসপিআর ট্রাম্পের অধিকাংশ শুল্ক আরোপ অবৈধ : মার্কিন আদালত নুরের ওপর হামলা: তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান তারেক রহমানের হামলায় আহত নুরুল হক নুর গুম বন্ধে আন্তর্জাতিক আইনে বিচার বাস্তবায়ন বিএনপির অঙ্গীকার: তারেক রহমান

ঢাবিতে সার্টিফিকেট জালিয়াতির মাধ্যমে শতাধিক কর্মকর্তার পদোন্নতি

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ঢাবি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও দফতরে পদোন্নতির জন্য প্রয়োজন হবে কম্পিউটার চালানোর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার। প্রশাসনিক কার্যক্রমকে দ্রুতগতির ও এর আধুনিকায়নের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপ গ্রহণের পর সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে পদোন্নতি নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক কর্মকর্তা।

রাজধানীর শাহবাগের এক নামসর্বস্ব কম্পিউটার সেন্টার থেকে এসব সার্টিফিকেট নেন ওই কর্মকর্তারা। এবার তাদের অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, কর্মকর্তাদের প্রতি তিন বছর পর পর পদোন্নতি দেওয়া হয়। এ সময় তাদের পূর্ব পদের অভিজ্ঞতা, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার গোপনীয় প্রতিবেদন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ডিগ্রি ইত্যাদির উপর নির্ভর করে চাকরির পয়েন্ট দেওয়া হয়। পয়েন্টের দিক থেকে যে কর্মকর্তা এগিয়ে থাকেন তার পদোন্নতি আগেই হয়ে যায়। তবে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পদোন্নতির জন্য কম্পিউটার চালনায় দক্ষতার কথা জানালে এসব কর্মকর্তারা রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের একটি কম্পিউটার সেন্টার থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে আসেন।

নাম সর্বস্ব সার্টিফিকেটধারী এসব কর্মকর্তারা জানান, তারা রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের ‘কর্মযোগ সংস্থা’ কম্পিউটার সেন্টার থেকে কম্পিউটার বিষয়ে ডিপ্লোমা করে এসেছেন। অথচ এসব কর্মকর্তার কম্পিউটারে কোনো ধরনের অভিজ্ঞতা নেই। এসব কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটে গিয়ে ওই কম্পিউটার সেন্টারের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বরং ওই ঠিকানায় একটি কাপড়ের দোকান পাওয়া যায়।

মার্কেটের দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘এ নামে একটি সংস্থার একটি রুম থাকলেও এক বছরেরও বেশি সময় আগে সংস্থাটির এখান থেকে চলে যায়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান রিজভী বলেন, প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তারা এমনিতেই নিজেদের কাজে অদক্ষ এবং অদূরদর্শী। কোনো কাজে তাদের কাছে গেলে আমাদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। অভিযোগ করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়না। তাদের অদক্ষতার পেছনে রয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে দক্ষতার প্রমাণে দেওয়া এসব জাল সনদ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতরের এক কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কর্মকর্তাই সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে পদোন্নতি নিয়েছেন। এবং তাদের অনেকেই কম্পিউটার চালাতে পারেন না। নতুন করে পদোন্নতির জন্য আবেদন করেছেন শতাধিক কর্মকর্তা।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র বলছে, ভুয়া সনদ নিয়ে নতুন করে আবেদন করা এসব কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বাতিল করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এ ধরনের ঘটনায় যিনি সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছেন এবং যারা সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন দুই দলই সমানভাবে অন্যায় করেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com