আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার তেলে আমদানি নিষেধাজ্ঞার আগেই ৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি গ্যালন গ্যাস বিক্রি হয় ৪.১০৪ ডলারে, যেটি ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ। সে বছর প্রতি গ্যালন গ্যাস বিক্রি হয়েছিল ৪.১০৩ ডলারে।
রাশিয়ার তেল আমদানির ওপর প্রত্যাশিত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন।
নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকেই বাড়ছিল জ্বালানির দাম। এমন পরিস্থিতিতে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায় প্রেসিডেন্টের ঘোষণাটি।
আরটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অশোধিত তেল ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন পাম্পে পেট্রলের দাম সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে প্রতি গ্যালন গড়ে ৪.১৭ ডলারে বিক্রি হয়।
দ্য হিলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার তেলে আমদানি নিষেধাজ্ঞার আগেই ৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি গ্যালন গ্যাস বিক্রি হয় ৪.১০৪ ডলারে, যেটি ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ। সে বছর প্রতি গ্যালন গ্যাস বিক্রি হয়েছিল ৪.১০৩ ডলারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৭ মার্চ ব্রেন্ট ও ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম বেড়ে ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছায়। ব্রেন্টের দাম ব্যারেলে ৫.১ ডলার বেড়ে হয় ১২৩.২১ ডলার। অন্যদিকে ব্যারেলে ডব্লিউটিআইয়ের দাম ৩.৭২ ডলার বেড়ে হয় ১১৯.৪ ডলার।
৮ মার্চও তেলের দামে উল্লম্ফন দেখা যায়। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই দিন বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম ব্যারেলে প্রায় ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১২৯ ডলারে। অন্যদিকে ডব্লিউটিআইয়ের দাম বেড়ে হয় ১২৩.৫০ ডলার।
‘বেশি কিছু করার নেই, দোষ রাশিয়ার’
এদিকে জ্বালানির দাম বাড়ার জন্য সম্পূর্ণভাবে রাশিয়াকে দায়ী করে বাইডেন বলেছেন, বিষয়টি মোকাবিলায় এর চেয়ে বেশি কিছু করার নেই তার।
পাম্পগুলোতে মঙ্গলবার জ্বালানির মূল্যের চিত্র নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘এটা বাড়ার দিকে।’
দাম বৃদ্ধি রোধে করণীয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে বেশি কিছু করতে পারব না। রাশিয়া দায়ী।’