কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত, বেড়েছে লোডশেডিং

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪

কয়লার অভাবে পুরোপুরি বন্ধ মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা, এসএস প্ল্যান্টের উৎপাদনেও বড় পতন। এর ফলে সারা দেশে লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত। ফলে বাসাবাড়িতে দুর্ভোগের পাশাপাশি কল কারখানাতেও পড়ছে বিরূপ প্রভাব।

অন্যদিকে বিদ্যুৎ আমদানিতে আদানির কাছে বকেয়া প্রায় ৮৫ কোটি ডলার। অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানির আমদানি নির্ভরতা, অতিরিক্ত উৎপাদন সক্ষমতাই বিদ্যুৎখাতের নাজুক অবস্থার জন্য দায়ী।

ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় নির্মিত কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে গত বছর আমদানি শুরু হয়। ২ ইউনিটে ১৫০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এই কেন্দ্র দেশের বিদ্যুতের অন্যতম বড় উৎস। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের বকেয়া জমে দাঁড়িয়েছে ৮৫ কোটি ডলার।

এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর পিডিবিকে চিঠি দিয়ে ৩০ তারিখের মধ্যে বকেয়া পরিশোধে তাগিদ দেয় আদানি গ্রুপ। এতে বলা হয়, ব্যর্থ হলে ক্রয়চুক্তি অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। গত বৃহস্পতিবার থেকেই আদানির এক ইউনিট বন্ধ। তাই দৈনিক বিদ্যুৎ আসছে ৭৩০ মেগাওয়াটের কম।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘সংকট সমাধানের চেষ্টা চলছে। আমরা অক্টোবর মাসে ৯৮ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছি। যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। তারপরও তাদের এমন আচরণ খুব আশ্চর্যজনক, বিস্ময়কর ও দুঃখজনক। আদানি যদি সত্যিই বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়, তাহলে আমরা এটা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছি।’

এদিকে, কয়লার মজুদ শেষ হওয়ায় মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ হয় ৮ অক্টোবর, আরেকটি উৎপাদনে নেই ২৫ অক্টোবর থেকে। একই কারণে রামপাল, বাশখালী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি করে ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ।

এদিকে শরৎকালে তাপমাত্রা কমায় বিদ্যুতের চাহিদাও নেমেছে ১২ হাজার মেগাওয়াটের ঘরে। তারপরও রোববার দুপুরে ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে। গ্যাস ও কয়লা সংকটে চাহিদা বেড়েছে তরল জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের। এতে বাড়বে পিডিবির লোকসান ও ভর্তুকির চাপ।

২০২২-২৩ অর্থবছর প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ ছিলো ১২ টাকা ১৩ পয়সা, পাইকারি বিক্রি হয় ৭ টাকা ৪ পয়সায়। ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিলো ৫ টাকার বেশি।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com