নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে আরও কঠোর অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার খড়গ আরও কঠোর করতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে একটি বিল পাস হয়েছে। ‘দ্য স্টপ হারবারিং ইরানিয়ান পেট্রোলিয়াম (শিপ)’ শীর্ষক এ বিল স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ৩৪২-৬৯ ভোটে পাস হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এ বিলের লক্ষ্য হচ্ছে, যেসব বিদেশি বন্দর ও পরিশোধনাগার মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে ইরান থেকে আমদানি করা তেল প্রক্রিয়াজাত করবে, সেসব প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যোদ্ধাদের হামলার পর থেকেই মার্কিন আইনপ্রণেতারা ইরানের ওপর চাপ বাড়াতে নানা রকম সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক করছিলেন। তাদের অভিযোগ ইরানের পৃষ্ঠপোষকতা এবং ইন্ধনে এমন হামলা চালিয়েছে হামাস। এতে ১৪ শ ইসরায়েলসহ কয়েকটি দেশের নাগরিক নিহত হয়। জিম্মি করা হয় অন্তত ২৮০ জনকে। তবে বরাবরের মতো এ হামলায় সব ধরনের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আসছে তেহরান।

নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের সদস্য, রিপাবলিকান দলের মাইক ললার ও ডেমোক্রেটিক সদস্য জ্যারেড মস্কোউইটজ বলেন, এ বিলের মধ্য দিয়ে মার্কিন বিরোধী চীন ও রাশিয়ার মতো দেশগুলোকে পরিষ্কার বার্তা দেয়া হচ্ছে যে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ইরানকে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করতে হবে, তা না হলে নিষেধাজ্ঞার মতো পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে।

তবে নিম্নকক্ষ পাস হওয়া এই বিলটি এখনো আইনে পরিণত হয়নি। দেশটির উচ্চকক্ষ সিনেটে পাস হয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সই পেলেই তা আইনে পরিণত হবে এবং কার্যকর হবে।

এদিকে বিলটি আইনে পরিণত হলেও শেষমেশ কতটা কার্যকর হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উচ্চকক্ষে নিষেধাজ্ঞার আইন পাস করলেও এসব ক্ষেত্রে সাধারণত প্রেসিডেন্টকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার দেয়া হয়।জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি মনে করলে প্রেসিডেন্ট নিজে সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে সই না–ও করতে পারেন। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় মনে হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত যেকোনো বিদেশি কোম্পানির প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দিতে পারেন।

ইরানের জ্বালানি তেলের বড় ক্রেতা চীন, যাদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের করার তেমন কিছুই নেই। তেহরানের ওপর ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা অনেক আগে থেকেই চলমান রয়েছে। দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর এ নিষেধাজ্ঞা চলমান রয়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হলেও পরবর্তী সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই নিষেধাজ্ঞা আবারও জোরালো করেন।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com