কক্সবাজার : কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় হামুন। ঝড়ের কবলে পড়ে জেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া লণ্ডভণ্ড হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ বহু স্থাপনা। ঝড়টি ইতোমধ্যে দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশ তিনজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের মধ্যে একজন পৌরসভা এলাকায়, একজন মহেশখালী ও একজন চকরিয়ায় মারা গেছেন।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, ঝড়ের তাণ্ডবে রাতে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকায় আধা পাকা ঘরের দেয়াল চাপা পড়ে আবদুল খালেক (৪০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
এছাড়া বড় মহেশখালী ইউনিয়নে রাতে ঘরের সামনের গাছ চাপা পড়ে হারাধন দে (৪৫) নামে একজন মারা গেছেন। চকরিয়াতেও গাছচাপায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকেই কক্সবাজারে হামুনের তাণ্ডব শুরু হয়। প্রচণ্ড বাতাসে অনেক ঘরবাড়ি উড়ে যায়। বড় বড় অনেক গাছও দুমড়ে মুচড়ে পড়ে। ভেঙে উড়ে যায় দোকানপাটও। মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় ভেঙেছে গাছপালা। এতে অনেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে ঝড়ের বড় প্রভাব পড়েনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় হামুন উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (২৫ অক্টোবর) রাত ১টায় উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে। এটি দুর্বল হয়ে সাতকানিয়া, চট্টগ্রামে স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে ঝড়টি।
বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হামুন কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করে হামুন। ভোররাত পাঁচটা নাগাদ ঝড়ের কেন্দ্রস্থল উপকূল অতিক্রম শেষ করে।