আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের হেরাত প্রদেশে শনিবার সকালে পরপর ছয়টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে একটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। এসব ভূমিকম্পে রবিবার (৮ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত অন্তত ৩২০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে এক হাজারের বেশি।
জাতিসংঘের বরাতে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, শনিবার আঘাত হানা ওইসব ভূমিকম্পে ১২টি গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে । গ্রামগুলো ইরান সীমান্তবর্তী জিন্দা জান ও ঘোরিয়ান জেলায় অবস্থিত।
জানা গেছে, শনিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশে পরপর ছয়টা ভূমিকম্প আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুসারে, ছয়টির মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ছিল ৬ দশমিক ৩ মাত্রার। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। এই ভূমিকম্পের পর ওই অঞ্চরে ৫ দশমিক ৫, ৪ দশমিক ৭, ৬ দশমিক ৩, ৫ দশমিক ৯ ও ৪ দশমিক ৬ মাত্রার পাঁচটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রথম বড় ভূমিকম্পের পরবর্তী ভূমিকম্পগুলো আফটার শক হিসেবে পরিচিত।
উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিদেশি কোনো উদ্ধারকারী দল বা সহায়তা পৌঁছার খবর শোনা যায়নি।
২০২২ সালের জুনে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার এক ভূমিকম্পে এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। গত কয়েক দশকের মধ্যে আফগানিস্তানে সেটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প ছিল বলে সেই সময় জানায় দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরের মার্চে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় সাড়ে ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পে দুই দেশে অন্তত ১৩ জন নিহত হন।
সূত্র : এনডিটিভি, আলজাজিরা