অস্থিরতার জন্য দায়ী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: তথ্যমন্ত্রী

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভিন্ন অস্থিরতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গত ১৩/১৪ বছরে যত অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের তথ্য কমিশন ভবনে আয়োজিত ‘তথ্যের অবাধ প্রবাহে ইন্টারনেটের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে গত ১৩/১৪ বছরে যত অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে করা হয়েছে। মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে। রাষ্ট্রব্যবস্থাকে দুর্বল করা হয়েছে৷

মন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বাংলাদেশে ব্যবহার করে আট কোটির বেশি মানুষ।

এ সময় তিনি ছেলেধরা গুজবে সাধারণ মানুষকে পিটিয়ে হত্যা ও পদ্মা সেতু নিয়ে গুজনের বিষয়টি তুলে ধরেন।

মন্ত্রী জানান, ভুল ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো, সমাজকে অস্থির করার মাধ্যম হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

নানা সুবিধাকে ব্যবহার করে রাষ্ট্র এবং সমাজে নানা অসুবিধা তৈরি করা, অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্য প্রাপ্তির কৌশলের বিষয় তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা তথ্য পাওয়ার জন্য নানা উপায় অবলম্বন করেন, সচিবালয়ে দেখা যায়, ক্লার্কের (পিওন) সাথে সখ্যতা তৈরি করা হয়। যে ফাইল এদিক থেকে ওদিকে নিয়ে যাওয়া হয়, তার সাথে সখ্যতা তৈরি করা হয়। সখ্যতা তৈরি করে ফটো তোলে, মোবাইলে ফটো তোলে, ফটো তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এভাবে তথ্য নেওয়া অপরাধ। তথ্য অধিকার আইন আছে, যে কেউ তথ্য চাইতে পারে।

হাছান মাহমুদ বলেন, তথ্য অধিকার আইনে অনেকের শাস্তিও হয়েছে। অনেক সরকারি কর্মকর্তার ক্ষেত্রেও তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ করা হয়েছে৷

মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে আমাদের ইশতেহারে দুইটি বিষয় উল্লেখ করেছিলাম, তথ্য অধিকার আইন ও জনগণের সামনে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা। আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি। ইশতেহার প্রণয়নের সময় দল ও দলের বাইরে অনেকেই এই দুই বিষয় নিয়ে সন্দিহান ছিলেন বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি জানান, ১৭ কোটি মানুষের দেশ ১৮ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহারকারী। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্য অধিকারে এক লাখ ৪৭ হাজার ৯১৮টি দরখাস্ত জমা পড়েছে৷ যার মধ্যে ৯৬ শতাংশ দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমির এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com