নাইজার থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার ও সামরিক সহযোগিতা বন্ধের ঘোষণা ফ্রান্সের

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নাইজার থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার এবং সব সামরিক সহযোগিতা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স।

প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, ফ্রান্স রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং বেশ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবে।

সামরিক সহযোগিতা সমাপ্ত করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ফরাসি সৈন্যরা আগামী মাসগুলোতে চলে আসবে।

’নাইজারে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে জান্তা এক বিবৃতিতে বলেছে, এই রবিবার আমরা নাইজারের সার্বভৌমত্বের দিকে একটি নতুন পদক্ষেপ উদযাপন করছি।

স্থলবেষ্টিত পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে প্রায় ১৫০০ ফরাসি সৈন্য রয়েছে।

রাজধানী নিয়ামিতে নিয়মিত বিক্ষোভসহ ফরাসি উপস্থিতির বিরুদ্ধে কয়েক মাসের বিদ্বেষ এবং বিক্ষোভের পরে প্যারিসের এ সিদ্ধান্ত এলো।

এই পদক্ষেপ বৃহত্তর সাহেল অঞ্চলে ইসলামপন্থি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের অভিযান এবং সেখানে প্যারিসের প্রভাবকে একটি হাতুড়ির আঘাত দেয়। তবে মাখোঁ ফ্রান্সের টিএফআই এবং ফ্রান্স২ টেলিভিশনের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেছিলেন যে ফ্রান্স পুচিস্টদের দ্বারা জিম্মি হবে না।

মাখোঁ বলেছেন যে তিনি এখনও ক্ষমতাচ্যুত নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে দেশের একমাত্র বৈধ কর্তৃত্ব হিসাবে বিবেচনা করছেন, যিনি বর্তমানে অভ্যুত্থানকারী নেতাদের দ্বারা বন্দি। তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টকে ‘জিম্মি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

নাইজার পশ্চিম আফ্রিকার বেশ কয়েকটি সাবেক ফরাসি উপনিবেশের মধ্যে একটি, যেখানে বুরকিনা ফাসো, গিনি, মালি এবং চাদের পরে সামরিক বাহিনী সম্প্রতি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সর্বশেষ অভ্যুত্থান হয়েছিল আগস্টে গ্যাবনে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই অঞ্চলে ফরাসিবিরোধী তিক্ত সমালোচনা বা বিদ্বেষ বিকাশ লাভ করেছে, অনেক স্থানীয় রাজনীতিবিদ প্যারিসকে নব্য ঔপনিবেশিক নীতির জন্য অভিযুক্ত করেছেন, যদিও ফ্রান্স তা অস্বীকার করেছে।

সাহেলে রাশিয়ার ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা নিয়ে পশ্চিমে উদ্বেগও রয়েছে। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত এবং কিছু নতুন সামরিক শাসনকে সাহায্য করছে।

নাইজারের সামরিক নেতারা ফরাসি রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইত্তেকে বলেছিলেন যে তারা ২৬ জুলাই বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তাকে দেশ ছাড়তে হবে।

যাহোক, তার চলে যাওয়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টর আল্টিমেটাম জারি করা হয়েছিল আগস্টে। ফরাসি সরকার মেনে চলতে বা সামরিক শাসনকে বৈধ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করার কারণে এখনও বহাল ছিল।

নাইজারের অভ্যুত্থান নেতারা দেশের ওপর দিয়ে ফরাসি বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করার কয়েক ঘণ্টা পরে মাখোঁর বিবৃতি এসেছে।

আঞ্চলিক এয়ার সেফটি অর্গানাইজেশন, এএসইসিএনএ বলেছে যে নাইজারের আকাশসীমা ফরাসি এয়ারক্রাফ্ট বা এয়ার ফ্রান্সের বিমানসহ ফ্রান্সের চার্টার্ড বিমান ছাড়া সব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য উন্মুক্ত।

পূর্বানুমতি না পাওয়া পর্যন্ত আকাশপথ সমস্ত ‘সামরিক, অপারেশনাল এবং অন্যান্য বিশেষ ফ্লাইটের’ জন্য বন্ধ থাকবে বলে বার্তায় বলা হয়েছে।

এয়ার ফ্রান্স এএফপিকে বলেছে যে তারা নাইজারের আকাশসীমার ওপর দিয়ে উড়ছে না। সূত্র বিবিসি।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com