যাদের পেঁপে খাওয়া বারন

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩
papaya on wooden background

স্বাস্থ্য ডেস্ক : পেঁপে অনেকের পছন্দের একটি ফল। এই ফলটি ভিটামিন সি এবং এ এর ভাণ্ডার। পেঁপে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। পেঁপের অনেক পুষ্টিগুণ থাকা সত্তেও এই ফল খাওয়ার উপরেও আবার বিধিনিষেধ রয়েছে।

ভারতের পুনের পুষ্টিবিদ ডা.অদিতি মুদালিয়ারের মতে, পেঁপে হল ভিটামিন সি এবং এ সমৃদ্ধ কম ক্যালরির একটি রসালো ফল। পেঁপেতে হাঁপানি প্রতিরোধ এবং এমনকি ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্যসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এটি চোখের স্বাস্থ্য ভালো রোখে। পেঁপে এবং এর গাছের অন্যান্য অংশ যেমন-বীজ, পাতা ঔষধি গুণসম্পন্ন বলে পরিচিত। এছাড়াও পেঁপে ফোলেট, ভিটামিন এ, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড এবং ফাইবারের একটি ভালো উৎস।

পেঁপেতে ভিটামিন বি, বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জিক্সানথিন, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন কে রয়েছে যা শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।

যদিও পেঁপে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং এতে বেশ কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে, তবুও এই ফল খাওয়া সবার জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে। কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এই ফলটি এড়িয়ে চলাই ভালো। যেমন-

গর্ভাবস্থায়:
গর্ভাবস্থায় কাচা পেঁপে এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এটি এর রেচক বৈশিষ্ট্যের কারণে জরায়ু সংকোচনের কারণ হতে পারে। যেসব নারীদের গর্ভপাতের পূর্ব ইতিহাস রয়েছে তাদের সম্পূর্ণরূপে পেঁপে এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে গর্ভাবস্থায় পরিমিত পরিমাণে পাকা ফল খাওয়া যেতে পারে।

কিডনিতে পাথর :
পেঁপেতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। পেঁপে রক্তের ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং পেশির ক্র্যাম্পিং কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু অতিরিক্ত ভালো জিনিস কখনও কখনও খারাপ হতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন সি কিডনিতে পাথর তৈরি করে। এ কারণে অতিরিক্ত পাকা পেঁপে না খাওয়াই ভালো।

ল্যাটেক্স এলার্জি:
আপনার যদি ল্যাটেক্স অ্যালার্জি থাকে তাহলে পেঁপে না খাওয়াই ভালো।

হৃৎপিণ্ডের সমস্যা:
যাদের হৃদরোগজনিত জটিলতা আছে তাদের পেঁপে খাওয়া ঠিক নয়। পেঁপেতে উপস্থিত প্যাপেইন উপাদান হৃদস্পন্দনের গতি কমিয়ে দেয়, এর ফলে হৃদরোগজনিত জটিলতা বাড়ে। এ কারণে কারও যদি ইতিমধ্যেই কোনও কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা থাকে তবে পেঁপে খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

হাইপোথাইরয়েডিজম :
হাইপারথাইরয়েডিজম হল এমন এক অবস্থা যেখানে শরীর যথেষ্ট থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে না। থাইরয়েড হরমোন বৃদ্ধি, কোষ তৈরি এবং বিপাক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হৃৎপিণ্ডের মতোই, হাইপোথাইরয়েডিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপর পেঁপের একই প্রভাব হয়। তাই হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পেঁপে খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com