সুদান ছেড়ে পালাতে পারে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে সংকট বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশটি ছেড়ে পালাতে পারে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। এমনকি সংকট-সংঘর্ষের জেরে এই অঞ্চলে মানবপাচার এবং অস্ত্র ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও রয়েছে।

জাতিসংঘের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৩০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ সুদান থেকে পালিয়ে যেতে পারে বলে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান সোমবার জানিয়েছেন। এছাড়া সংঘাতের কারণে ভঙ্গুর এই অঞ্চলে মানবপাচার এবং অস্ত্র ছড়িয়ে পড়ার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গত ১৫ এপ্রিল সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে এই লড়াই শুরু হয়। প্রাণঘাতী এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষ ইতোমধ্যেই সুদানের সীমানা পেরিয়ে পালিয়ে গেছেন। বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া এসব মানুষের বেশিরভাগই গেছেন মিশর, চাদ এবং দক্ষিণ সুদানে।

রয়টার্স বলছে, সুদানের জনসংখ্যা ৪ কোটি ৯০ লাখ। এর মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে কেবল সুদানের মধ্যেই ১০ লাখেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া সুদানের রাজধানী খার্তুমের আবাসিক এলাকায় ভারী লড়াই ছড়িয়ে পড়েছে এবং দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি সুদান সীমান্ত পরিদর্শনের পর মিশরের রাজধানী কায়রোতে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইউএনএইচসিআর ছয় মাসের মধ্যে প্রায় ৮ লাখ সুদানি এবং অন্যান্য জাতীয়তার আরও ২ লাখ লোক সুদান ছেড়ে চলে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমরা এই উচ্চ পরিসংখ্যানে পৌঁছাতে পারি। শুরুতে আমি এটা বিশ্বাস করিনি যে তেমনটি হতে পারে, কিন্তু এখন আমি চিন্তিত হতে শুরু করেছি।’

সুদানের সীমান্তবর্তী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ সুদান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ইথিওপিয়া এবং লিবিয়া। আর এই সবগুলো দেশই তাদের নিজস্ব সাম্প্রতিক সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গ্র্যান্ডি বলেন, সুদানে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়া এবং অনেক মানুষ দেশ ছাড়তে মরিয়া হওয়ায় এটি মানব পাচারের জন্য উর্বর ভূমিতে পরিণত হতে পারে। একই সময়ে সীমান্তের আশপাশের অঞ্চলজুড়ে অস্ত্র সরবরাহ আরও সহিংসতার জন্ম দিতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সাহেল অঞ্চলে ও লিবিয়ায় এটি দেখেছি। আমরা এর পুনরাবৃত্তি চাই না, কারণ এটি সংকট এবং মানবিক সমস্যা বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।’

রয়টার্স বলছে, সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ সুদান থেকে মিশরে প্রবেশ করেছে। যদিও উত্তর আফ্রিকার এই দেশটি আগে থেকেই বিপুল সংখ্যক সুদানি নাগরিকের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com