শিরোনাম
টেকসই উন্নয়ন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও অভ্যাস পরিবর্তনের ওপর নির্ভরশীল: পরিবেশ উপদেষ্টা শেষমেশ ওরিকেই ‘স্বামী’ বলে পরিচয় দিলেন জাহ্নবী উল্লাপাড়ায় দুই নৌকার সংঘর্ষে ২ যুবকের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক আরও দুইজন নুরুল হকের ওপর হামলায় বিএনপি ও জামায়াতের নিন্দা জেলেদের জন্য ভয়ংকর নাফ নদী— ২৩ দিনে ৬৩ জন জেলেকে অপহরণ কাকরাইলে রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে যা বলছে আইএসপিআর ট্রাম্পের অধিকাংশ শুল্ক আরোপ অবৈধ : মার্কিন আদালত নুরের ওপর হামলা: তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান তারেক রহমানের হামলায় আহত নুরুল হক নুর গুম বন্ধে আন্তর্জাতিক আইনে বিচার বাস্তবায়ন বিএনপির অঙ্গীকার: তারেক রহমান

করোনায় বাবা-মা হারিয়েছে ভারতের ১৯ লাখ শিশু

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দু’বছরের বেশি সময় চলে গেছে করোনা মহামারির। সারা বিশ্বেই তাণ্ডব চালিয়েছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। হিসাবের খাতাতেই রয়েছে ৬০ লাখ ৬৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এতে আক্রান্ত হয়েছে।

করোনার এ ছোবলে তছনছ হয়েছে সাজানো-গোছানো বহু সংসার। বাবা-মাকে হারিয়ে মাথার ওপর থেকে ছাদ হারিয়েছে বহু শিশু। কোনো শিশু বাবা-মায়ের একজনকে হারিয়েছে, আবার কোনো কোনো শিশু দু’জনকেই হারিয়েছে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখের বেশি মানুষের। কিন্তু এর ফলে বাবা-মা দুজনকেই হারিয়েছে বা একজনকে হারিয়েছে ভারতের প্রায় ১৯ লাখ শিশু।

সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, কোনো কোনো পরিবারে এমনও হয়েছে- বাবা বা মায়ের কোনো একজনের মৃত্যুর কারণে বাবা বা মারা হয়েছে তিন থেকে চার জন। আবার এমন পরিবারও রয়েছে যেখানে একমাত্র শিশু সন্তানটি ছাড়া পরিবারের সবার মৃত্যু হয়েছে।

করোনার ছোবলে শিশুদের ভুগতে হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। অনেক পরিবারের জীবিকার পথ বন্ধ হয়েছে, চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, স্কুল বন্ধ হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের প্রধান গবেষক জুলিয়েট আনউইনের মতে, কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড করায় কোভিডের কারণে অনাথ শিশুদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এই সংখ্যা আরও বেশি হবে বলেও মনে করছেন তিনি। গবেষণায় শুধুমাত্র ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ডেটা নেওয়া হয়েছে।

করোনায় সবেচেয় বেশি বাবা-মা হারিয়েছে পেরু ও দক্ষিণ আফ্রিকার শিশুরা। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অব প্রিভেনশনের প্রধান গবেষক সুসান হিলিস জানিয়েছেন, প্রতি ৬ সেকেন্ডে একটি শিশু ঝুঁকির মধ্যে ছিল, যদি না তাকে সময়মতো সাহায্য করা হয়।

এই শিশুদের সবচেয়ে বড় বিপদ হলো তাদের মানসিক স্বাস্থ্য। একদিকে আপনজন হারাতে হয়েছে, অন্যদিকে দীর্ঘ সময় ঘরবন্দি জীবন কেড়ে নিয়েছে তাদের শৈশবের লম্বা সময়।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com