সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে : সেনাপ্রধান

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২২

ঢাকা : সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের একসঙ্গে কাজ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের প্রচলিত যে দায়িত্বগুলো পালন করে, সেগুলো পালনের ক্ষেত্রে বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি নিজেই এখানে এসেছি এটা ইনডিকেট করে যে, আমি এটাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছি।’

আমরা সোনার বাংলা গড়ার যে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে এগোচ্ছি, সেখানে সামরিক প্রশাসনের সঙ্গে বেসামরিক প্রশাসন যদি একসঙ্গে কাজ না করে, আমরা কিন্তু অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না। আমরা ক্ষেত্রগুলো আলোচনা করলাম। সবাই একমত হয়েছি যে, এটার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে, বলেন তিনি।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে। বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আমরা এটাকে ক্যাপিটালাইজড করে আরো এগিয়ে যেতে চাই।’

ডিসিদের কাছ থেকে কোনো প্রস্তাব এসেছে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘স্পেসিফিক প্রস্তাব বলতে সেরকম কোনো প্রস্তাব নেই। কিন্তু আমাদের যেসব সিভিল মিলিটারি রিলেশন বাড়ানোর ক্ষেত্রগুলো আছে, সেগুলো আমরা আলোচনা করেছি।’

তিনি বলেন, কিছু কিছু প্রস্তাব আছে যেগুলো এখনই বললে প্রিম্যাচুরড হয়ে যাবে। আমরা আরও একটু আলোচনা করে দেখব, তার পর ওটাকে বাস্তবায়ন করা যাবে।

কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার তরফ থেকে যে কোনো কাজ একসঙ্গে করার জন্য একটা পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভালো পরিবেশের জন্য ভালো সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। আমি ফোকাস করেছি যেন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি হয়। যতো কমিউনিকেশন হবে ততো কমিউনিকেশন গ্যাপ কম হবে। কমিউনিকেশন গ্যাপ যতো কম হবে ততো আমাদের কাজ করার সুবিধা হবে। এই কথাটা অন্যান্য বক্তব্যের সঙ্গেও বলেছি।’

নির্বাচনের মাঠে দায়িত্বপালন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা যে ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কাজ করি তার মধ্যে প্রথম দায়িত্ব হলো— দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি ইন-এইড টু সিভিল পাওয়ারে আমরা নেশন বিল্ডিং একটিভিটিজ করি, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কাজ করি। আমরা ল’ ইনফোর্সমেন্টকে সহায়তা করি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামেও একটা বিশেষ ধরনের দায়িত্বপালন করছি। আমরা এফডিএমএন ক্যাম্পে কক্সবাজারে দায়িত্বপালন করছি। আমরা কনস্টিটিউশনের মধ্যে থেকেই বিদেশেও দায়িত্বপালন করছি। কুয়েতে সেনাবাহিনীর ব্যাপক-সংখ্যক সেনাসদস্য কাজ করে। দেশের জন্য অনেক বিদেশি মুদ্রা নিয়ে আসছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বে এক নম্বর শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশ হিসেবে জাতিসংঘে স্বীকৃত। এসব কার্যক্রম করার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, অসামরিক প্রশাসনের সহায়তা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অসামরিক প্রশাসন যখনই মনে করবে যে, সরকারের নির্দেশনায় সেনাবাহিনী তাদের পাশে দাঁড়িয়ে দায়িত্বপালন করতে পারবে, আমরা তখনই তাদের ডাকে সাড়া দেব এবং অবশ্যই তাদের পাশে দাঁড়িয়ে দায়িত্বপালন করব।’

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com