আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত আগস্টে প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত হন রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ‘ওয়াগনার’ প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। তখন তার মৃত্যু নিয়ে নানা জল্পনা শোনা গিয়েছিল। তবে প্রকৃত ঘটনা কী তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
ওই সময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, প্রিগোজিনের প্লেনে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল। তবে সেই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি কেউ।
এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইঙ্গিত দিলেন কীভাবে ঘটেছিল সেই প্লেন দুর্ঘটনা।
তিনি ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, প্লেনের ভেতরে গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটে থাকতে পারে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আগস্টে যে বিমান দুর্ঘটনায় ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন নিহত হয়েছিলেন, সেটি বিমানের ভেতরে হ্যান্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণের কারণে হয়েছিল বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার পুতিন ইঙ্গিত দেন, প্রিগোজিনের বিমানটি ভেতর থেকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। গুজবের কাহিনীর মতো কোনো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সেটিকে আঘাত করা হয়নি। তিনি বলেছেন, গত আগস্টে দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহে বিস্ফোরকের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে রাশিয়ার তদন্ত কমিটির প্রধান জানিয়েছেন।
রাশিয়ার সোচি শহরে ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবের এক সভায় পুতিন বলেন, “দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহে হাতবোমার টুকরো পাওয়া গেছে। বিমানটিতে কোনো বাহ্যিক ক্ষতির চিহ্ন ছিল না- এটি ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত সত্য।”
তার এই কথার মাধ্যমে মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবিকে মিথ্যা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ মার্কিন কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, প্রিগোজিনের বহনকারী বিমানটিকে গুলি করা হয়েছিল।
প্রিগোজিন এক সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বেশ ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। কিন্তু দুই মাস আগে গত ২৩ জুন তিনি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এমনকি নিজের যোদ্ধাদের নিয়ে মস্কোর দিকে যাত্রাও শুরু করেন তিনি।
এতে মুহূর্তেই পুতিনের ‘বন্ধু থেকে শত্রুতে’ পরিণত হন প্রিগোজিন। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, পুতিনের নির্দেশেই প্রিগোজিনকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও এসব দাবিকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে মস্কো। সূত্র: আল জাজিরা, এনবিসি নিউজ, এপি, ব্লুমবার্গ