আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যসহ তুরস্ক থেকে নিজেদের সব কূটনৈতিকদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। গাজায় হামলার কারণে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। ডেইলি সাবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলের এমন সিদ্ধান্তের মধ্যে তুরস্কে নিয়োজিত তাদের রাষ্ট্রদূত ইরিত লিলিয়ানসহ কূটনৈতিকরা দেশ ছাড়ছেন।
ইলহাস নিউজ এজেন্সি (আইএইচএ) জানিয়েছে, শুক্রবার সব কূটনৈতিক তুরস্ক ছেড়ে যাবেন। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের সকল দেশেও তেলআবিব একই নির্দেশনা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের বরাতে এএফপি জানিয়েছে, এটা সাময়িক সিদ্ধান্ত। স্বল্প সময়ের জন্য এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল তুরস্ক থেকে সকল ইসরায়েলিকে যত দ্রুত সম্ভব দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) দূতাবাসের এক মুখপাত্র জানান, ইসরায়েলের বাইরে সন্ত্রাসী হুমকির কারণে তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়েছে। বর্তমানে এ ঝুঁকি চার মাত্রায় রয়েছে, যা নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রা।
গত বছর ইসরাইল ও তুরস্ক তাদের পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। এর আগে কয়েক মাস ধরে তাদের কূটনৈতিক উত্তেজনা চলছিল।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ চলছে। এতে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। সবশেষ বৃহস্পতিবার রাতে মধ্য গাজার একটি আবাসিক ভবন এবং একটি গির্জা প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পৃথক এ দুটি হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে এবং অন্তত ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছে।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলাকে নৃশংস বলে উল্লেখ করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেন, ইসরায়েল-হামাস সংঘাত বৃদ্ধির পরিণতি হবে ভয়াবহ। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সাথে সাক্ষাতে এমন মন্তব্য করেন।