আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আসন্ন নির্বাচনের জন্য সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে একটি চুক্তির প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভেনেজুয়েলার জ্বালানি তেল খাত থেকে নিষেধাজ্ঞা ব্যাপকভাবে শিথিল করেছে জো বাইডেন প্রশাসন।
ট্রাম্প-যুগে দেওয়া বিধিনিষেধের উল্টো পথে হাঁটার এ ঘোষণা আসে বুধবার।
ওপেক সদস্য ভেনেজুয়েলার জন্য নতুন একটি সাধারণ লাইসেন্স অনুমোদন করেছে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ। যা ২০১৯ সাল থেকে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ছিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। এ হিসেবে পছন্দের বাজারের জন্য পরবর্তী ছয় মাস কোনো নির্দিষ্ট সীমা ছাড়াই জ্বালানি তেল উৎপাদন ও রফতানি করতে পারবে।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর নির্বাচনী ছাড়কে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। সঙ্গে বলেন, বিরোধী প্রার্থীদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং রাজনৈতিক বন্দি ও ‘ভুলভাবে আটক’ আমেরিকানদের মুক্তি দেওয়ার জন্য নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত সময় দিয়েছে ওয়াশিংটন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মাদুরো এমন পদক্ষেপ না নিলে ছাড় ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে আরোপিত কঠোর নিষেধাজ্ঞায় এ ছাড় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য কারাকাসের ওপর চাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভেনেজুয়েলার বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের কর্মকর্তা জর্জ রদ্রিগেজ। তিনি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, যেকোনো ব্যক্তি বা কোম্পানির বিনিয়োগের জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত ভেনেজুয়েলা।
২০১৮ সালের মাদুরোর পুনঃনির্বাচন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা সরকারগুলো প্রত্যাখ্যান করে। পরের বছর থেকে রাষ্ট্রায়াত্ত জ্বালানি তেল কোম্পানি পিডিভিএসকে-কে পছন্দের বাজারে রফতানি নিষিদ্ধ করে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার ঘোষিত পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রাহক বা গন্তব্যের সীমাবদ্ধতা ছাড়াই ভেনেজুয়েলার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও গ্যাসের উৎপাদন, বিক্রি ও রফতানির জন্য ছয় মাসের সাধারণ লাইসেন্স পাবে। এছাড়া আরেকটি লাইসেন্স পাবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন স্বর্ণ উত্তোলনকারী কোম্পানি মিনারভেন।
আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা অংশগ্রহণ করবেন। সূত্র: রয়টার্স