গাজায় বিতর্কিত যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করছে ইসরায়েল: এইচআরডব্লিউ

আমাদের সময় ডেস্ক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) গাজা উপত্যকা ও লেবাননে বোমা হামলায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিতর্কিত যুদ্ধাস্ত্র সাদা ফসফরাস ব্যবহারের অভিযোগ করেছে।

অত্যন্ত দাহ্য এই রাসায়নিক কখনও কখনও সামরিক বাহিনী এলাকা চিহ্নিত করতে ব্যবহার করে।
তবে এটি মানুষকে মারাত্মকভাবে পুড়িয়ে ফেলতে পারে। সাদা ফসফরাস অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হলে অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করে, বিশেষ করে যদি জনাকীর্ণ এলাকায় ব্যবহার করা হয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, তারা বর্তমানে গাজায় সাদা ফসফরাসযুক্ত অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে সচেতন নয়। আর লেবাননের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, তারা গাজা ও লেবাননে ধারণ করা ভিডিওগুলি পেয়েছে এবং বিশ্লেষণ করেছে, যাতে সাদা ফসফরাস সমৃদ্ধ আর্টিলারি শেল (কামানের গোলা) বিস্ফোরিত হতে দেখা গেছে। সংস্থাটি গাজায় বার্তাসংস্থা এএফপির তোলা ছবিগুলোর কথা উল্লেখ করেছে, যাতে আকাশে সাদা রেখা দেখা গেছে।

সাদা ফসফরাস যখন অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসে তখন তা জ্বলে ওঠে এবং ঘন সাদা ধোঁয়া উৎপন্ন করে।

মানবাধিকার সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলছে, গাজা, যা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে একটি, সেখানে সাদা ফসফরাসের ব্যবহার বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় এবং তাদের অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকিতে ফেলা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে।

সাদা ফসফরাস আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে নিষিদ্ধ নয়। কারণ, এর আইনি ব্যবহার রয়েছে, কিন্তু মানুষের ওপর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে এর ব্যবহার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।

ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী গাজায় ২০০৮-২০০৯ সালের হামলার সময়ে সাদা ফসফরাস ব্যবহার করেছিল। তখন বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছিল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ২০১৩ সালে বলেছিল, তারা ছদ্মবেশ হিসেবে রাসায়নিকটির ব্যবহার বন্ধ করবে।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2023 amadersomoy.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com