ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক বিশ্বকে জানানোর একটি প্রচেষ্টা যে এই অঞ্চলটির অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য নয়, কেবল যারা এখানে বাস করে শুধু তাদের জন্যও নয়, বরং পুরো বিশ্বের জন্য।
শনিবার বিআইআইএসএস মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক: অপর্চুনিটিস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বিআইআইএসএস-এর চেয়ারম্যান এএফএম গৌসল আজম সরকার।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এবং বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ দিনব্যাপী সেমিনারটির আয়োজন করে।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিশ্বের নতুন আগ্রহের প্রদর্শন হিসেবে, বিভিন্ন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ভারত, আসিয়ান, অস্ট্রেলিয়া, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র এবং বাংলাদেশের মতো দেশ/ সংস্থাগুলো বিভিন্ন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, দৃষ্টিভঙ্গি, মনোভাব, নির্দেশিকা প্রবর্তন এবং সমর্থন করেছে।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে কেন্দ্র করে দেশগুলোর নতুন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি এই অঞ্চলে অবকাঠামো, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মোকাবিলা করার জন্য গঠিত হয়েছে এশিয়া রিব্যালেন্সিং স্ট্র্যাটেজি, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই), ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক (এফওআইপি), কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়লগ (কুয়াড), ট্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি প্যাক্ট (টিএসপি), ইন্দো-প্যাসিফিক টিল্ট, সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ ফর অল ইন দ্যা রিজিয়ন(এসএজিএআর) এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফোরাম ফর প্রসপারিটি (আইপিইএফ)।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরের একটি উপকূলীয় দেশ হিসেবে ইন্দো-প্যাসিফিক প্রয়োজনীয়তার আলোকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশের প্রস্তাবিত পররাষ্ট্র নীতি মেনে চলে ‘সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, একটি ‘মুক্ত, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক’ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল এবং তার বাইরে শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সুতরাং, আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গি নিরাপত্তা-কেন্দ্রিক নয়, বরং আমরা এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করি।
সূত্র : ইউএনবি