স্পোর্টস ডেস্ক: হঠাৎ করেই অ্যাসেজের পঞ্চম টেস্ট খেলার সময় স্টুয়ার্ট ব্রড জানিয়ে দেন, এই ম্যাচই তার ক্যারিয়ারের শেষ ক্রিকেট ম্যাচ। আর এতে ইংল্যান্ড দলের কাছে এই টেস্ট জয় হয়ে ওঠে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ব্রডের বিদায়কে স্বরণীয় করতে জয়টিই তাদের দরকার ছিল। অবশেষে ব্রডের বিদায়ী ম্যাচে তার নেয়া শেষ উইকেটটি ওজিদের হারিয়ে বেশ স্মরণীয় হয়ে থাকল ইংলিশ কিংবদন্তী বলার স্টুয়ার্ড ব্রডের।
সোমবার ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ সিরিজের ৫ টেস্টের শেষ টেস্টে নানা নাটকীয়তার ফলে জয়ও পেল ইংল্যান্ড। তাও আবার ম্যাচের শেষ উইকেটটি নিয়েছেন ব্রড নিজেই। আর এই জয়ে ২-২ সিরিজ ড্র করল ইংলিশরা।
ওভাল টেস্ট জিতলে অন্তত সিরিজ ড্রয়ের সান্ত্বনা পাবে ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২০০১ সালের পর প্রথমবার ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জয়ের হাতছানি। অ্যাশেজ সিরিজের ভাগ্য এসে ঠেকেছিল শেষ মুহুর্তে। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড জিতেছে।
ম্যাচে জয়ের জন্য ৩৮৪ রানের লক্ষ্যে কাল ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া মোট ৩৩৪ রানেই অলআউট হয়েছে। ৪৯ রানের জয়ে ২-২ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করল ইংল্যান্ড। ওল্ড ট্রাফোর্ডে বৃষ্টির কারণে চতুর্থ টেস্ট ড্র হয়ে যাওয়ার পরই অবশ্য অ্যাশেজ ধরে রাখা নিশ্চিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
ইংল্যান্ডের জন্য শেষ দিন সকালের সেশনটা ছিল দুর্দান্ত। দিনের চতুর্থ ওভারেই সেটি এনে দেন ক্রিস ওকস। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারেকে ৬০ রানে আউট করেন ওকস। পরের ওভারে এসে ওকস ফেরান আরেক ওপেনার উসমান খাজাকেও, রিভিউ নিলেও এলবিডব্লুর হাত থেকে বাঁচেননি। এরপর মারনাস লাবুশেন ও স্টিভেন স্মিথের জুটিও বড় হয়নি। মার্ক উডের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে লাবুশেন ফেরায় ভাঙে সেটি। দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ড তখন অনেকটাই এগিয়ে।
ওজি দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার স্মিথ যখন আউট হলেন অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৫ উইকেটে ২৭৪। জয় থেকে তখনো অস্ট্রেলিয়া ১১০ রান দূরে। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে শুধু উইকেটে ছিলেন মিচেল মার্শ। ব্যক্তিগত ৬ রানে মঈনকে মার্শ উইকেট দেওয়ার পর ইংল্যান্ড জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে। অ্যালেক্স ক্যারি বাধা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। ২৮ রান করে অস্ট্রেলিয়ার শেষ উইকেট হিসেবে আউট হন। তাঁর উইকেটটি নেন ব্রড। পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে শেষ বলে উইকেট নিয়ে থামলেন।